অভিবাবকহীন স্কুল পড়ুয়া শিশু কিংবা পারিবারিকভাবে যার নেওয়া হয়না লেখাপড়ায় পরিচর্যা সেই সব শিশুদের দায়িত্ব নিয়েছে ‘বাতিঘর’। কেবল তাদের জন্যেই বাতিঘর চালু করেছে ‘বাতিঘর পাঠশালা’। যেখানে বিনা খরচে কোমলমতি শিশুদের দেয়া হচ্ছে পাঠদান। মেধার বিকাশে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থাও। এই পাঠশালার শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সংগঠনের দায়িত্বশীলরা।
জানা গেছে, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজারে ‘সময়ের শৈল্পিক প্রজ্জলন’-স্লোগান ধারণ করে ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর জন্ম নেয় ‘বাতিঘর’। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নিঃস্বার্থ মানবসেবা, শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে সংগঠনটি। সর্বশেষ গত বৃহষ্পতিবার (৯ মে) সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার্থীদের জন্যে তারা চালু করেছে ‘বাতিঘর পাঠশালা’।
অফিসের পাঠাগারে করা হয়েছে পাঠদানের ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই পাঠশালায় শিক্ষার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। ৫০জন শিক্ষার্থীকে ৪টি ব্যাচে ভাগ করে বিনা খরচে পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ৬দিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাঠদান করান সংগঠনের দায়িত্বশীলরা। সেখানে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলের পাঠ নেয়ার পাশাপাশি শিশুতোষ বিভিন্ন ধরণের ছবি ও গল্পের বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বাতিঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের পাঠশালায় বিশ্বনাথের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির সুবিধাবঞ্চিত ৫০জন শিক্ষার্থীকে ৪টি ব্যাচে ভাগ করে বিনা খরচে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। সপ্তাহে ৬দিন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ক্লাস চলবে।
বাতিঘর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মারুফ হোসাইন জানান, সঠিক নিয়মে লেখাপড়ায় গুরুত্ব না দিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের প্রতি এক ধরণের চাপ সৃষ্টি করা হয়। এতে তারা ভীতিগ্রস্ত হয়। পড়ালেখায় আনন্দ আছে। তারা যেন সে আনন্দ খুঁজে পায়, সেটি ফিরিয়ে আনতে আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে আমাদের এখানে রয়েছে পাঠদানের পাশাপাশি বিনোদনের ব্যবস্থা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে হ্রাস পাবে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা, বৃদ্ধি হবে মেধাবীদের তালিকা। এভাবে সকলেই দায়িত্ব নিলে শিক্ষা-দীক্ষায় দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর