সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় রাস্তা সম্প্রসারণ ও ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। এরজন্য কাটতে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহি শাহী ঈদগাহর পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীরের ভেতরের কয়েকটি গাছ। ইতোমধ্যে গাছগুলো বিক্রির জন্য কেটেও ফেলা হয়েছে। কিন্তু কে এই গাছ কাটছে সেটি জানেন না কেউ। এমনকি গাছগুলো যিনি কিনেছেন তিনিও জানেন না তিনি কার কাছ থেকে কিনেছেন।
রবিবার সকালে গাছগুলোর ক্রেতা রেজাউল করিম রাজু গাছগুলো কেটে নিয়ে যেতে চাইলে ঈদগাহ কমিটির সদস্য মোস্তাক আহমদ, আব্দুল গফুর মাখন মিয়া, এলাকার এনামুল হকসহ কয়েকজন গাছগুলো আটকান।
এ সময় রেজাউল করিম রাজু জানান, তিনি ৯০ হাজার টাকা দিয়ে গাছগুলো কিনেছেন।
কিন্তু শাহী ঈদগাহ কমিটির সদস্যদের দাবি তারা গাছগুলো বিক্রি করেননি। শাহী ঈদগাহর মাছ বিক্রি হলেও তা নিলাম করে বিক্রি করা হয়, কিন্তু এতগুলো গাছ কিভাবে নিলাম ছাড়া বিক্রি হবে। প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকার গাছ কিভাবে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এ ব্যপারে গাছগুলোর ক্রেতা রেজাউল করিম রাজু বলেন, তিনি যাদের কাছ থেকে গাছ কিনেছেন তাদের নাম তিনি জানেন না। তবে কাজীটুলা দিঘির পাড় এলাকায় একটি অফিসে ১৫-১৬ জন লোকের সাথে দরদাম করে তিনি গাছগুলো কাটার অনুমতি পেয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলর রাশেদ আহমদও জানেন।
তবে গাছগুলো শাহী ঈদগাহ কমিটিই বিক্রি করেছে বলে জানান ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশেদ আহমদ। তিনি বলেন, ড্রেন নির্মাণ ও রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য শাহী ঈদগাহর পশ্চিম পাশের কয়েকটি গাছ কাটা প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে ঈহগাহ কমিটিকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। গাছগুলো কাটার দায়িত্ব তাদের। তবে শাহী ঈদগাহর মোতাওয়াল্লী জহির বখত দেশের বাইরে থাকায় এ ব্যপারে তার বক্তব্য জানা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব