সিলেট নগরীতে ফের ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণের ঘটনায় একজন ও শিশুকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় আরেকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে সিলেট মহানগরীর মেজরটিলা মোহাম্মদপুর প্রত্যাশা ৮৪ নম্বর বাসার আজিম মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন নরসিংদীর বেলাবোর এক তরুণী। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাসায় আটকে রেখে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় পুলিশ আজিম মিয়াকে গ্রেফতার করে।
এদিকে, সিলেট নগরীর কাজলশাহ এলাকায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর মা। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে কাজলশাহ এলাকার অশুক খান (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই স্কুলছাত্রীকে অভিযুক্ত ব্যক্তি একাধিকবার যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে। অভিযুক্ত অশুক খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার।
অপরদিকে, সিলেটের কানাইঘাটে ১২ বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এক মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মী প্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের বাউরভাগ ১ম খণ্ড গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাওলানা রিয়াজ উদ্দিন নামের ওই ইমামকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি সোনাতনপুঞ্জি গ্রামের মনোহরটুক জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। মামলায় অভিযোগ করা হয় গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মসজিদের মক্তবের এক ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যৌন নিপীড়ন চালান ওই ইমাম।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর