চোখের জলে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে শেষ বিদায় জানালো সিলেটের মানুষ। শুক্রবার বিকেল ৫টায় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা শেষে নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
জানাজায় সিলেটের সর্বস্তরের লাখো মানুষ অংশ নেন। বাবার নামে তৈরি করা মসজিদের পাশে নিজের দেখানো স্থানেই তাকে দাফন করা হয়।
শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জস্থ এনজিএফএল খেলার মাঠে তার মরদেহবাহী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। পরে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নূরপুরস্থ তার গ্রামের বাড়িতে। সেখানে আগে থেকেই হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ তাদের প্রিয় জনপ্রতিনিধিকে শেষ দেখার জন্য ছিলেন অপেক্ষমাণ। এসময় অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিকেল ৫টায় কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন। মাহমুদ উস সামাদের প্রয়াণে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও তার রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীরা গভীর শোকাহত।
জানাজায় অংশ নিতে এসে তারা জানালেন, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। জনকল্যাণই ছিল তার ব্রত। তার মৃত্যুতে সিলেট-৩ আসনের (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) জনগণ তাদের অভিভাবককে হারিয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ঢাকাস্থ একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। পরে তার লাশ ঢাকা সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।
গত রবিবার সিলেট থেকে ফেরার সময় বিমানে তিনি অসুস্থতা অনুভব করেন। পরে বিমানবন্দর থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সোমবার সকালে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। ওইদিন বিকালে রিপোর্ট আসে করোনা পজিটিভ। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী গেল তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হ্যাট্টিক বিজয় অর্জন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার নির্বাচনী এলাকা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই