ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বেগবান করতে সিলেটে এসেছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ নিয়ে সংগঠনটির সারা সিলেটের নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে যেন ঈদের আনন্দ। কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বেলা ২টা থেকে শুরু হওয়া জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কর্মিসভায় সভাপতিত্ব করছেন আল-নাহিয়ান খান জয় ও প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখবেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
কিন্তু সংগঠনটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই দুই নেতার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত কর্মিসভার স্থান ও পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সিলেট জেলা-মহানগর ছাত্রলীগের অনেক বর্তমান এবং সাবেক নেতাকর্মী। এ বিষয়ে অনেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
‘একজন সাবেক কর্মীর আত্মপলব্ধি’ শিরোনামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন- ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার কর্মিসভাকে সিলেটের অডিটোরিয়ামের বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ করাটাই একদমই অনুচিৎ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ। অডিটোরিয়ামের আসন সংখ্যা ৬০০! আর ছাত্রলীগের সব ইউনিট নিয়ে কর্মি ৭-৮ হাজারের অনেক উপরে আছে। যে বা যারা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে ভুল বুুঝিয়ে এই কাজটা করেছেন তারা কোনোদিন ছাত্রলীগের ভালো চাননাই। তারা সবসময়ই ছাত্রলীগকে তাদের কুক্ষিগত সম্পত্তি করে রাখতে চান। সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ সংগঠন এখনও এত দুর্বল হয়ে যায়নি যে, এই সংগঠনের কর্মিসভাকে বদ্ধ ঘরে করতে হবে।’
এদিকে, সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার কর্মিসভার অনুষ্ঠানস্থল নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়াম ঘুরে দেখা গেছে- শনিবার সকাল থেকে অনুষ্ঠানস্থলজুড়ে সিলেটের নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়। অডিটোরিয়ামের ভেতরে নির্দিষ্ট আসন সংখ্যায় মাত্র ৬০০ মানুষের সংকুলান হয়। মহামারি করোনার সংক্রমণের এই সময় বদ্ধ ঘরে অবস্থান করছেন হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। সবাই গরমে করছেন হাঁসফাঁস, বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্ক । এই পরিবেশে কর্মিসভার আয়োজন করার জন্য অনেককে অনুষ্ঠানস্থলেই ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কমিটিবিহীন সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগকে চাঙ্গা করতে সিলেট এসেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। শনিবারের (১৩ মার্চ) সিলেটের কর্মিসভায় তারা যোগ দিয়েছেন।
শনিবার ১২টা ৫০ মিনিটে বিমানের একটি ফ্লাইটে করে তারা সিলেটের আসেন। এসময় তাদেরকে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছেন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের খবরে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে পড়া সিলেট জেলা এবং মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এই কর্মীসভাকে নেতাকর্মী অনেকেই দুটি ইউনিটের কমিটি গঠনের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন।
দীর্ঘদিন পর সিলেট ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সুরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ কর্মীসভাকে সামনে রেখে ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। নির্মাণ করা হয়েছে তোরণও।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন