সিলেটে লকডাউনের প্রথম দিনেই পাল্টে গেছে নগরীর চেহারা। ব্যস্ততম এই নগরীতে অনেকটা কমে গেছে মানুষের আনাগোনা। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যে নগরীতে তীব্র যানজট আরও মানুষের আধিক্য থাকতো সেই নগরী এখন শুনশান নীরব। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
সোমবার সকালে সিলেটের ব্যাংকগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তা কমে যায়।
সিলেটের কদমতলী ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে কোন বাস ছেড়ে না গেলেও নগরীতে বিচ্ছিন্নভাবে চলতে দেখা গেছে সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা। সেই সাথে সিলেট থেকে কোনও ট্রেন ছেড়ে যায়নি এবং সিলেটে কোনও ট্রেন আসেনি।
এদিকে লকডাউনে সিলেটের রেস্টুরেন্টগুলোতে সরকারের নির্দেশনা মেনে ভেতরে বসে খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ রাখলেও ক্রেতাদের চাহিদা মতো খাবার প্যাকেট করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সিলেটের আদালত পাড়ায় বিচার প্রার্থীদের উপস্থিতি কম থাকার পাশাপাশি আইনজীবীদের উপস্থিতিও অন্য দিনের চেয়ে একেবারেই কম ছিল। এছাড়া সিলেটের বেশ কয়েকটি আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল বলে আইনজীবী সূত্র জানায়।
জানা যায়, লকডাউনের প্রথম দিন সোমবার সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নগরীতে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। বিপণী বিতান বন্ধ থাকলেও বিচ্ছিন্নভাবে দোকানপাট খোলা ছিল। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অনেককেই মাস্ক ছাড়া নগরীতে চলাচল করতে দেখা যায়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম