টানা ২৫ দিন বন্ধ থাকার পর সিলেট তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে চালু হয়েছে আমদানি। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আসতে শুরু করেছে ওপারে আটকে থাকা পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। তামাবিল স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় এই ২৫ দিনে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব হারিয়েছে সরকার।
ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্থলবন্দরটি পরিদর্শনে আসেন যুগ্মসচিব ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির। তার উপস্থিতিতে মঙ্গলবার রের পর থেকে চালু হয় আমদানি।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর কবির দু-একদিন ‘অটোমেশন’ পদ্ধতিতে পণ্য পরিমাপের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গত ৭ জানুয়ারি থেকে হঠাৎ আমদানি বন্ধ হওয়ায় সীমান্তের ওপারে পণ্যবোঝাই হাজার হাজার ট্রাক আটকা পড়ে। এতে সরকার প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
আমদানিকারকরা জানান, তামাবিল স্থলবন্দরে এতদিন ‘ওয়েটব্রিজ’ দিয়ে পণ্য পরিমাপ করা হতো। হঠাৎ অটোমেশন সিস্টেম চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি স্থলবন্দরে এখনো অটোমেশন চালু হয়নি। ডাউকি স্থলবন্দরে ফিতা দিয়ে ট্রাক পরিমাপ করে পণ্যের ওজন নির্ধারণ করে চালান দেওয়া হয়। কিন্তু এপারে অটোমেশন সিস্টেমে পরিমাপের পর পণ্যের ওজন বেশি দেখায়। এতে ব্যবসায়ীদের একদিকে বাড়তি রাজস্ব দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংকিং জটিলতায়ও পড়তে হচ্ছে। কিন্তু উভয় দেশের স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু থাকলে তাদের এ সমস্যায় পড়তে হতো না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিদিন তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজারের বেশি ট্রাক পণ্য নিয়ে আসে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় হয় ৫০ লাখ টাকার মতো। কিন্তু এতদিন আমদানি বন্ধ থাকায় ১০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
তামাবিল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, ‘আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের পর থেকে এ স্থলবন্দর আমাদিন ফের চালু হয়। যুগ্ম-সচিব ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য জাহাঙ্গীর কবির মহোদয় পণ্য পরিমাপের বিষয়টি দু-একদিন পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপরে অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত