বইছে হিমেল বাতাস। তার সঙ্গে হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে শীতের অনুভূতি হচ্ছে বেশি। বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়ে বিপর্যস্ত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার জনজীবন। দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় কষ্ট ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল পরিবারসহ নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা। বৃষ্টি-শীতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষকদের ক্ষেত-খামারের কাজও। বৈরি আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে বাড়তে পারে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ।
উপজেলায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সূর্যের দেখা নেই। মেঘলা ছিল আকাশ। বইছিল ঝিরিঝিরি হিমেল হাওয়া। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়ার সাথে নামে বৃষ্টি। তীব্রতা বাড়ায় শীতের। ভাটা পড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায়। হাড় কাঁপানো শীতে, হাটে-মাঠে, রাস্তা-ঘাটে কমে যায় মানুষের উপস্থিতি। জরুরি প্রয়োজনে শীতের পোশাক ও ছাতা মাথায় বের হন অনেকে।
উপজেলা সদরে খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায় অভাবী মানুষদের। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা, ফুটপাত ও ভাসমান দোকানদার। প্রস্তুতি না থাকায় হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজে যায় তাদের সবকিছু। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, এই অবস্থা থাকবে আগামীকালও।
কৃষক ফিরোজ মিয়া জানান, বোরো রোপণ শেষ। এখন পরিচর্যার সময়। গেল বুধবার থেকে ঠান্ডা বাতাস আর শীত বেড়েছে। আজ আর ক্ষেতে নামতেই পারিনি।
ভাসমান শীতের কাপড় ব্যবসায়ী টারজান বলেন, শীত-বৃষ্টি আর হীম বাতাসে রাস্তায় দাঁড়ানোই মুশকিল। বাজারে ক্রেতা নেই। তবুও পলিথিনে মালামাল ঢেকে দাঁড়িয়ে আছি। যদি দু’একটি বিক্রি করতে পারি।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমেদ চৌধুরী ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, আজ এবং কাল বৃষ্টি থাকছে। এই দুদিন বাড়ানো থাকবে তাপমাত্রও।
বিডি প্রতিদিন/এমআই