গণটিকার প্রথম দিনে সিলেট বিভাগে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে দেয়া হয়েছে টিকা। যদিও প্রথম দিন টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৪ লাখ ডোজ। কিন্তু সকাল থেকে টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষর উপচেপড়া ভিড় থাকায় দিনশেষে টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে।
সারাদেশের সাথে শনিবার সকাল থেকে সিলেটেও শুরু হয়েছে করোনার গণটিকা কার্যক্রম। এবার সিটি করপোরেশন এলাকাসহ পুরো সিলেট বিভাগে ৭ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এক হাজার ৫শ’ কেন্দ্রের মাধ্যমে শুরু হয়েছে টিকাদান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানান, গণটিকার প্রথম দিন অর্থাৎ গতকাল শনিবার প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩শ’ জন করে বিভাগের ১ হাজার ৫শ’ ওয়ার্ডে মোট সাড়ে চার লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় ও আগ্রহ থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি টিকা দেয়া হয়েছে। দিন শেষে সিলেট বিভাগে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, সিলেট নগরীর ৯৬টি কেন্দ্রে শনিবার সকাল থেকে টিকা দেয়া শুরু হয়। ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে তুলনামুলক মানুষের কম ভিড় ছিল। যারা ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে টিকা দিয়েছেন তারা অনেকটা স্বস্তিতেই দিয়েছেন। কম ভিড় থাকায় খুব বেশি সময় লাইনে দাঁড়াতে হয়নি। টিকা প্রদানের ব্যবস্থাপনা নিয়েও তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তবে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কেন্দ্রে সকাল থেকে ছিল উপচেপড়া ভিড়। হাসপাতারের সামনের নতুন আউটডোর বিল্ডিংয়ের টিকাকেন্দ্র থেকে শুরু করে সামনের চত্বর পর্যন্ত তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। হাজার হাজার মানুষকে টিকা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও হিমশিম খেতে হয়েছে। অনেকে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে অধৈর্য্য হয়ে ফিরে যেতেও দেখা গেছে। অনেকে আবার অভিযোগ তুলেছেন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা স্বজনপ্রীতি ও অনিয়ম করে লাইন ভেঙ্গে অনেককে টিকা দেয়ার। নানা কারণে যারা এতোদিন টিকা নিতে অনাগ্রহী ছিলেন গণটিকা কর্মসূচিতে সহজে সেসব লোক টিকা দিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
বিডি প্রতিদিন/এএম