সিলেটের বিশ্বনাথে প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। তার নাম আবদুল বাছিত (২৮)। তিনি উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের টেংরা (টিল্লাপাড়া) গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ির উঠোনে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত বাছিতকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি।
নিহত বাছিতের বড়বোন রোজিনা বেগম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির রাস্তা নিয়ে আমাদের সাথে প্রতিবেশী মৃত নামর মিয়ার পরিবারের বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নামর মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া পিকআপে করে জ্বালানি নিয়ে এসে আমাদের রাস্তায় রাখে। এসময় আমার ভাই আবদুল বাছিত সেখানে গিয়ে রাস্তায় লাকড়ি রাখার কারণ জানতে চায়। তখন সাথে সাথে সুমন, একই বাড়ির তছলিম মিয়ার ছেলে কাইয়ূম, তুরন মিয়ার ছেলে ফারুক মিলে বাছিতের উপর আক্রমণ চালান। বাছিতের বুকে ছুরিকাঘাত করেন সুমন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রায় দুই ঘন্টা পর মারা যায় বাছিত।
রোজিনা এই খুনের জন্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম আহমদ সেলিমকে অভিযুক্ত করে বলেন, তিনি আপোস-মীমাংসার নামে রাস্তা নিয়ে আমাদের দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধকে দিনের পর দিন জিইয়ে রেখেছিলেন। তাছাড়া আমার ভাইকে খুন করে যাওয়ার সময় সুমন, কাইয়ূম ও ফারুকরা দম্ভ দেখিয়ে বলেছে- তাদের লিডার (সেলিম) আছে, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম আহমদ সেলিম বলেন, উভয়পক্ষের বিরোধ আপোসে নিষ্পত্তির জন্যে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এখন আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে কথা বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাছিতকে ধারালো ছুরি দিয়েই আঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতেও পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ