সিলেটের জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনের দীর্ঘ ১৫ বছর জামায়াত নেতাকর্মীরা সীমাহীন জুলুম নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে বিচারের নামে শহীদ করা হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পঙ্গু হয়েছেন অসংখ্য। অনেকে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বাকশালী সরকার বিদায়কালে নির্বাহী আদেশে জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু জামায়াত ও শিবির দেশেই আছে, কিন্তু স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। তবে জামায়াত প্রতিশোধপরায়ণ নয়। সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিতভাবে দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এতে দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে জামায়াত তাদের কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বন্দরবাজারে সংবাদ সম্মেলন করে এমন বক্তব্য দেন দলটির নেতারা। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কঠোর সংগ্রাম ও ছাত্রজনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দেশ বাকশাল মুক্ত হয়েছে। ছাত্রসমাজের এই সীমাহীন ত্যাগ জাতী আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আন্দোলনের সকল শহীদদের রূহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। একই সাথে সংবাদ সম্মেলনে ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় আটক ছাত্রজনতার মুক্তি ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রজনতার এই বিজয়কে নস্যাত করতে সারাদেশের ন্যায় সিলেটেও একটি স্বার্থন্বেষিমহল তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। বিভিন্ন অফিস, বাসাবাড়ি, ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সকর নাগরিক ও সকল ধর্মের উপসনালয়ের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসন ও সিলেটবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
বিডি প্রতিদিন/এএম