চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে বিজয় দিবসের মঞ্চে হামলার অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ড. সৈয়দা নওশীন পর্ণিনী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।
দুপুরে আদেশটি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসে। জাহাঙ্গীর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা আদেশে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) মোতাবেক তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে পৃথক এক আদেশে কৃত অপরাধে কেন তাকে তার পদ থেকে অপসারণ করা যাবে না তা পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জানাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্তের একটি অফিস আদেশ পেয়েছি। এটা কার্যকর করা হয়েছে।’
জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় এজে চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে কুচকাওয়াজ, আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি অভিযোগ তুলে শিকলবাহা ইউপি চেয়ারম্যান ও অনুষ্ঠানের আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম অনুসারীদের নিয়ে মিছিল সহকারে বিজয় দিবসের মঞ্চে ওঠে হাতাহাতি শুরু করেন। এ সময় বিজয় দিবসের শারীরিক কসরত প্রদর্শীনিতে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন শিশু আহত হয়। তাছাড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অতিথিরা পালিয়ে আত্মরক্ষার করেন। অনুষ্ঠান এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার শুরু হলেও পুরস্কার বিতরণ ছাড়াই শেষ করা হয়। ঘটনার পাঁচদিন পর এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ জনকে আসামি করে ইউএনও কার্যালয়ের অফিস সহকারী দীপু চাকমা বাদি হয়ে একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জিকে ওএসডি করার পরদিনই তা প্রত্যাহার করে নেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন