ওড়না পরায় নিষেধাজ্ঞা, দুর্নীতি, শিক্ষার বদলে কেবলই অভিজাত হোটেলে ডিজে পার্টির আয়োজনের অভিযোগ চট্টগ্রামের খ্যাতনামা ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল 'সাইডার ইন্টারন্যাশনালে'র অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ছাত্র বিক্ষোভে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। সোমবার বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে যায় এটি।
ভারত থেকে আসা চুক্তিভিত্তিক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, অপ্রীতিকর আচরণসহ নানা অভিযোগে শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের মেয়রসহ ঊর্ধ্বতনদের স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার কারণে ইতোপূর্বে চট্টগ্রামের এই স্কুলটির প্রতি অভিভাবকদের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও 'শিক্ষার নামে বাণিজ্য' ও পড়াশোনার বদলে অভিজাত হোটেলে নিছক ডিজে পার্টির আয়োজনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এখন উদ্বিগ্ন। ক্রমে এর শিক্ষার্থী সংখ্যা কমলেও বেড়েছে শিক্ষক সংখ্যা।
এইচআর কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষকদের মধ্যেও গ্রুপিং চাঙ্গা করার অভিযোগও ওঠেছে সাইডারের অধ্যক্ষ জ্ঞানেশ চন্দ্র ত্রিপাটির বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নাদের খানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে এর ভাইস প্রিন্সিপাল জাহাঙ্গীর আলমকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষিপ্ত হন। এমন পরিস্থিতিতে ১০টার আগেই ক্লাস বন্ধ করা হয়। সোমবার অতর্কিত নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষার জন্য নোটিশ জারি করলে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে পরীক্ষা বর্জন করেন।
মিছিল সমাবেশ করেন তারা। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুসহ পুলিশের বিশেষ টিম। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আজও পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি আবুল কালাম।
এমন পরিস্থিতিতে স্কুল ট্রাস্টি চেয়ারম্যান নাদের খান ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের সাথে বেঠক করেছেন।
বৈঠকে চেয়ারম্যানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও অধ্যক্ষকে বহাল রাখার পক্ষেই অনড় অবস্থান রয়েছে কর্তৃপক্ষের। এ কারণে অসন্তোষ আরও বেড়েছে। আজও উত্তাপ অঘটনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আবুল কালাম।
অন্যদিকে ট্রাস্টি চেয়ারম্যান জানান, স্মারকলিপিতে প্রদত্ত অভিযোগগুলো সত্য নয়। তবুও অভিভাবকদের বক্তব্য শুনেছি। পরবর্তী বোর্ড সভায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/০২ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত