বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসে। এ সময় দলে অনেক অতিথি পাখি ঢুকেছে। কিন্তু এসব অতিথি পাখি দলের জন্য অশনি সংকেত। এমন সুযোগ সন্ধানীদের চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ রাখতে প্রত্যেক দলীয়-নেতাকর্মীদের সর্তক থাকতে হবে।’

বুধবার দুপুরে গণতন্ত্র বন্দী দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার উদ্যোগে নগরের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে, শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে দলের ভিতর থেকেও একটি ষড়যন্ত্র ছিল। তবে শেখ হাসিনার আপসহীন ভূমিকার কারণে এবং দলের কিছু বিশ্বস্ত নেতাকর্মীর সাহসী সংকল্পের কারণে গণতন্ত্র ও রাজনীতি দুটোই রক্ষা পেয়েছে। 

দলের এই প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘অতীতেও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত ছিল। নেতাদের মধ্যে মত ভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু ঐক্যের প্রশ্নে দলের স্বার্থে তারা এক ও অভিন্ন। তাই তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলব, শুধু স্লোগান ও ব্যক্তি পুজা নয়, এ দেশ রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর আর্দশিক চেতনায় তোমাদেরকেও তৈরি হতে হবে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সব সময় ক্ষমতা থাকব, এটা চির সত্য নয়। তাছাড়া সুসময়ও বহমান থাকবে তাও সত্য নয়। দুঃসময় মোকাবেলার প্রস্তুতি ও লড়াই করার ক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে আমাদের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিকরা নির্যাতন, নিপীড়ন ও আত্মত্যাগ করে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন, ঠিক অনুরুপভাবে ১-১১ দুঃসময়েও শেখ হাসিনার নেতাকর্মীরা একই অবদান রেখেছিলেন। তারাই দলের অক্সিজেন। এদেরকে নিয়েই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শক্তি সমৃদ্ধ এবং জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ডের মূলধারা পরিচালিত হবে।’

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার