হার্ট অ্যাটাক হয়ে হৃদস্পন্দন ও শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা-পদ্ধতি শেখাতে ‘হেলথ স্কুল’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আজ নগরের এপিক হেলথ কেয়ার’র কনফারেন্স হলে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা ‘হ্যান্ডস অন সিপিআর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মেডিক্যালের প্রায় ২৬ জন তরুণ চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান প্রশিক্ষক ছিলেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এনেস্থেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাদিম হায়দার।
মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইয়াং সোশ্যাল এক্টিভিজম বোর্ড’ (ওয়াই স্যাব) এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও ওয়াই স্যাব’র উপদেষ্টা ডা. মনিরা খাতুন, এপিক হেলথ কেয়ারের পরিচালক (অপারেশন্স) ডা. মো. এনামুল হক (নাদিম), সহকারি জেনারেল ম্যানেজার ডা. সাইফুদ্দীন মো. খালেদ, মোডাস ইন্টারন্যাশনাল’র রিজিওনাল অফিসার মো. সেলিম জাহাঙ্গীর, ওয়াই স্যাব’র এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. মনিরা খাতুন বলেন, ‘কেউ হঠাৎ করে অজ্ঞান বা হার্ট অ্যাটাক হয়ে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) পদ্ধতিতে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যে কেউ জীবন বাঁচাতে পারেন। এটি এখন গোটা বিশ্বে সমাদৃত। তাই নিজের প্রয়োজনেই সবার এটি শিখে নেওয়া উচিত।’
ওয়াই স্যাব’র ফাউন্ডার চেয়ারম্যান ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ বলেন, ‘সংগঠনের উদ্যোগে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের একাডেমিক প্রজেক্ট ‘হেলথ স্কুল’ এর মাধ্যমে অতিজরুরি ‘কার্ডিও-পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আরো দুইটি কর্মশালায় অর্ধশত মেডিকেল শিক্ষার্থী পদ্ধতিটি নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার