চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে এবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও গোসাইলচাঙ্গা ৩৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল আলম চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরেই সাজা পরোয়ানা নিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ আসামিকে খুঁজে পাচ্ছে না।
অভিযোগ আছে, আসামির সাথে পুলিশের পরিচয়ের সূত্রে বারবার বলার পরও গ্রেফতার করা হচ্ছে না দাবি অভিযোগকারি মোহাম্মদ ওয়াজেদের। আজ রবিবার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই পর্বে এই আসামির তথ্য গোপনসহ নানা কৌশলে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত থাকারও অভিযোগ উঠেছে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে (সাইফুল আলম চৌধুরী) মামলা রয়েছে এমন তথ্য নির্বাচন কমিশনে দেয়া হয়েছে। তিনি এলাকায় থাকেন না, অন্য ভাবে গোপনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে তাকে গ্রেফতারে বেশ কয়েকবার পুলিশ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী মামলার বাদী মোহাম্মদ ওয়াজেদ আরো বলেন, চেক প্রতারণা অভিযোগে ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত, সাইফুল আলম চৌধুরীর নামের আসামির বিরুদ্ধে এক বছরের কারাদন্ড ও ৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড রায় প্রদান করেন। আদালত থেকে সাজা পরোয়ানা প্রেরণের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার করেনি বন্দর থানা। বর্তমানে সেই আসামি কাউন্সিলর পদে বির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ যাচাই-বাছাই করা হবে। তিনি বলেন, মামলা তুলে নিতে বারবার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে কোতোয়ালী থানায় জিডিও করা হয়েছে।
আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ ওয়াজেদ বাদী হয়ে চেক প্রতারণার অভিযোগে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম ৪০০/১৭ (কোতোয়ালী) সি.আর মামলা দায়ের করেন। মামলাটি ৫ম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম ৫৫৯৯/১৮ নং এস.টি মামলায় গত গত বছরের ১৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে আদালত এক বছরের কারাদন্ড ও ৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা অর্থদন্ড রায় প্রদান করেন। আদালত থেকে প্রেরিত সাইফুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা একই বছরের ২০ মার্চ বন্দর থানা গ্রহন করে। সাজা পরোয়ানা গ্রহণের ১০ মাস অতিবাহিত হলেও আসামিকে গ্রেফতার করেনি বন্দর থানা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার