সান্টিং এবং সিগন্যালসহ কয়েকটি কারণেই পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের লোকাল ট্রেন চবি শাটল-মালবাহী ওয়াগন মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়েছে। এ ঘটনায় লোকোমাস্টারসহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো- ওয়াগনের লোকোমাস্টার শেখ আবদুল্লাহ হিল বাকি এবং শাটল ট্রেনে থাকা পুলিশ সদস্য মিজান ও শরীফ।
তবে সরেজমিনে স্থানীয় সূত্রে সান্টিং এবং সিগন্যালসহ বেশ কয়েকটি কারণ জানা গেলেও ঘটনার আসল চিত্র তুলে আনতে একটি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ওমর ফারুককে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তদন্ত রিপোর্ট তিন দিনের মধ্যেই দাখিল করেত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) সাদেকুর রহমান।
তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এ দূর্ঘটনার বিষয়ে সরেজমিনে বিস্তারিত দেখেছি। শান্টিং (পার্কিং) এবং সিগন্যালসহ বেশ কয়েকটি চিহ্নিত করেই হয়তো তদন্ত হতে পারে। ঘটনার বিস্তারিত বের করতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তবে ট্রেন চলাচলে এএলএমসহ দায়িত্বশীলরা আরো সচেতন এবং সর্তক থাকতে হবে বলে জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) মো. ওমর ফারুক বলেন, তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সুষ্টু ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশনা মোতাবেক দ্রুত সময়ের মধ্যেই রিপোর্ট দাখিল করতে পারবো। তবে তদন্তের আগেই কিছু বিস্তারিত বলতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে এই ঘটনায় একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির প্রধান করা হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) ওমর ফারুক। কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিএন-২) হামিদুর রহমান, ডিভিশনাল সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ আবেদিন পাটোয়ারী ও সহকারী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হাসান। এই কমিটি তিন দিনের মধ্যেই রিপোর্টও দাখিল করার নির্দেশনা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার