বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, ‘দেশি শিল্পের বিকাশ ও স্বার্থ সুরক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রফতানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি নীতির আলোকে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন গবেষণালব্ধ কাজ করছে। দেশি শিল্পের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করছে ট্যারিফ কমিশন।’
বুধবার দুপুরে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে ‘দেশি শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের ভূমিকা, শুল্ক সংক্রান্ত সহায়তা’ বিষয়ে মতবিনিময় ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্যারিফ কমিশন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের যৌথ উদ্যোগে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু হাসান সিদ্দিক, চট্টগ্রামের কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক, কাস্টম হাউস কমিশনার এম ফখরুল আলম প্রমুখ। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শাহ মো. আবু রায়হান আলবেরুনীর সঞ্চালনায় পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের মাহমুদুল হাসান। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, অঞ্জন শেখর দাশ, ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন ইউসুফ, জসীম আহমেদ, চবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহিউদ্দিন, মেট্রোপলিটন চেম্বারের সচিব এম সলিমুল্লাহ প্রমুখ।
কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনামের মতো রফতানি আয় বাড়াতে হলে দক্ষ জনশক্তি দরকার আমাদের। ইজি অব ডুয়িং বিজনেসের সুযোগ তৈরি করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীকে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা দিতে হবে। শুধু পোশাকশিল্প নির্ভর না হয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কঠিন জিনিস, নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতার জায়গা। বৈধ কাগজপত্র, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হয়। বিদেশিরা এসে নথিপত্র দেখতে পারে। নানা সার্টিফিকেশন, মানবিকতা, মানবাধিকার, শ্রমিকদের অধিকার দেখতে হয়। নানা দেয়াল টপকাতে হয়। এক দেশের পণ্য অন্য দেশের ওপর দিয়ে তৃতীয় দেশে রফতানি হয়ে থাকে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল