কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্ক এবং নিত্যব্যবহার্য মোবাইল, চশমা, ঘড়ি, মানিব্যাগ, চাবির রিং ইত্যাদি মাত্র ২ মিনিটেই জীবাণুমুক্ত করে পূনব্যবহার উপযোগী করবে ‘আল্ট্রাভায়োলেট (ইউভি) ডিসইফেক্ট্যান্ট ওভেন’।
চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ল্যাবে বানানো হয়েছে ইউভি ডিসইফেক্ট্যান্ট ওভেনটি।
এর আগে কভিড-১৯ রোগীদের শ্বাসকষ্ট প্রশমনে একাডেমির কন্ট্রোল ল্যাবে উদ্ভাবিত হয়েছিল ‘নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর’ যা বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়।
যন্ত্রটির ডিজাইনার একাডেমির ল্যাব প্রশিক্ষক খালেদ সালাউদ্দিন বলেন, একাডেমির আধুনিক প্রযুক্তিগত পরিবেশ এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান কমান্ড্যান্ট ড. নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেনের উৎসাহ ও সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা তাকে এ ধরণের উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নে সফলতা দিয়েছে।
তিনি জানান, মাস্ক হচ্ছে কভিড-১৯ মহামারি প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার কিন্তু সম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে এই মাস্কেই করোনাভাইরাস ৭ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তাই মাস্ককে প্রতিনিয়ত জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন। এই ইউভি ওভেনে মাত্র ২ মিনিটে মাস্কসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত করা এবং তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। এই যন্ত্রে স্বীকৃত আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ব্যবহারের ফলে জীবাণুনাশক কেমিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব হতে পরিবেশ ও মানবদেহ রক্ষা পাবে। এছাড়া বারবার কেমিক্যাল কেনার অর্থ সাশ্রয় হবে। ইউভি রশ্মি ব্যবহারের পাশাপাশি যন্ত্রটিতে কনভেনশনাল ওভেনের টার্ন টেবিল, টাইমার অফ সুইচ ও ওপেন হ্যাচ কিল সুইচ ফিচার সংযোজন করার কারণে কার্যকারিতা বহুগুনেবৃদ্ধি ও নিরাপদ হয়েছে। যন্ত্রটি বাড়ি কিংবা অফিসে ব্যবহার করা হলে পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে কভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, একাডেমিতে উদ্ভাবিত এই ইউভি ওভেনটি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে কিছু সংখ্যায় তৈরি করে প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ও সরকারি অফিসে বিনামূল্যে প্রদান করার চিন্তা করছি যেন করোনামুক্ত নিরাপদ পরিবেশে স্বাভাবিক কাজকর্ম অব্যাহত রাখা যায়।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত