৭ জুলাই, ২০২০ ২১:৫০

শিগগির ছাত্রদলের দুই ইউনিটের কমিটি, নেতা হওয়ার মাপকাঠি রাজনৈতিক মামলা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম:

শিগগির ছাত্রদলের দুই ইউনিটের কমিটি, নেতা হওয়ার মাপকাঠি রাজনৈতিক মামলা

শিগগির ঘোষণা করা হচ্ছে চট্টগ্রাম ছাত্রদলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটি। দুই কমিটিতে স্থান পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তবে কমিটিতে স্থান দিতে যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বিগত সময়ের রাজনৈতিক মামলা ও কারাভোগের বিষয়গুলোকে। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও এসব বিষয়কে সামনে রেখে কেন্দ্রের কাছে নিজেদের উপস্থাপন করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘কমিটি গঠনে দলের জন্য ত্যাগ ও কারাভোগ করেছে এমন নেতাদের কমিটিতে অগ্রধিকার নেয়া হবে। কমিটিতে স্থান দেয়ার জন্য কার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে সেটাও বিবেচনা করা হবে।’

জানা যায়, সাংগঠনিক গতিশীলনতা আনতে করোনাকালেই উদ্যোগ নেয়া হয় চট্টগ্রাম মহানগর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি গঠনের। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করেছে কেন্দ্রের সাংগঠনিক কমিটি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ এ দুই ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করবে কেন্দ্র। কমিটি গঠনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে কেন্দ্রে লবিং জোরদার করেছে সম্ভাব্য আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব প্রার্থীরা। তারা নেতা হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে উপস্থাপন করেছে কতটা রাজনৈতিক মামলা রয়েছে এবং কতদিন কারা ভোগ করেছে এসব বিষয়গুলোকে। অনেকে আবার অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে পরিবারের সদস্যরা কয়টি মামলার আসামি হয়েছে এসব বিষয়ও সামনে আনেছে। 

ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ কমিটি হয় প্রায় পাঁচ বছর আগে। এ কমিটির সিংহভাগ নেতাই এখন নিষ্ক্রিয় ও বিবাহিত। তাই বিগত সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন এমন কেউ আহ্বায়ক কমিটিতে আসছেন না। আসন্ন কমিটিতে আহ্বায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি ও বর্তমান কমিটি সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন মহসিন। এছাড়া আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, মো. জসিম উদ্দিন আবু বকর মাসুম প্রমুখ। 

ছাত্রদলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক অবস্থা খুবই নাজুক। গত ১৮ বছর ধরে হয়নি কোন থানা কিংবা ওয়ার্ড কমিটি। সাত বছর আগে ১১ সদস্য আংশিক কমিটি ঘোষণা হলেও বর্তমানে কেউ নেই ছাত্রদলের সাথে। ওই কমিটির নেতারা এখন বিএনপি, যুবদলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট। নাজুক এ ইউনিটের আহ্বায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অনুসারী ছাত্র নেতা সাইফুল আলম। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে। এছাড়া আহ্বায়ক হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের অনুসারী মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল তানভির আহমেদ, জাফরুল হাসান প্রমুখ। তাদের একেক জনের বিরুদ্ধে পাঁচ থেকে ১০টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর