চট্টগ্রামে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের (৬ষ্ঠ থেকে দশম পর্যন্ত) শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে অনলাইন ক্লাস উদ্বোধন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এজেড এম শরীফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জুম অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমানসহ চট্টগ্রাম জেলার শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা এবং মহানগরীর স্বনামধন্য সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষবৃন্দ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শ্রেণীকার্যক্রমের ক্ষতি পূরণে জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ গ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘করোনার কারণে থমকে যাওয়া শিক্ষাকার্যক্রমে গতি আনতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমন্বিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। করোনাকালে টিভিসহ কিছু মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হলেও সেখানে শিক্ষকরা লেকচার দিতে পারেন। শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করা বা তাদের সমস্যা সমাধানের সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসনের সমন্বিত অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষক বিষয়ভিত্তিক লেকচার দিবেন, শিক্ষার্থী কিছু না বুঝলে প্রশ্ন করার সুযোগ থাকবে।’
জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সমন্বিত অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও গণিত- পাঁচটি বিষয়ের ওপর থাকবে ক্লাস। পরবর্তীতে নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য থাকবে বিষয়ভিত্তিক ক্লাসসহ মোট ১৩টি বিষয়ের ওপর ক্লাস। জুম অ্যাপস এবং ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে এই ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষ। অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম পরিচালনায় নগরের সরকারি স্কুলের বাছাইকৃত শিক্ষকদের নিয়ে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ১০ জন করে ‘শিক্ষক প্যানেল’ গঠন করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের শুরুতে ক্লাস রুটিন প্রকাশের পর দৈনিক ৪ থেকে ৬টি বিষয়ের ওপর ঘণ্টাব্যাপী ক্লাস নেবেন এসব শিক্ষকরা। সপ্তাহের শুরুতে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে একটি ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হবে। রুটিনে উল্লেখিত নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট বিষয়ে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষক ক্লাস নেবেন। একজন শিক্ষক জুম অ্যাপসের মাধ্যমে তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য লেকচার দেবেন। সেটা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে লাইভ দেয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক কথা বলার সুযোগ থাকবে সেখানে। স্কুলের শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণের মতই সমন্বিত অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রমেও ভার্চুয়াল শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ থাকবে বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার