চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিবেশ রক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন সম্পর্কিত এক সেমিনারে আঞ্চলিক পরিবেশ উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন অবকাঠামো, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পাহাড়-পর্বত, বনভূমি রক্ষনাবেক্ষণ ও সামগ্রিক উন্নয়ন, নদী শাসন, বনজ সম্পদ উন্নয়ন, ব্লু-ইকোনমি, গ্রিন এনার্জি, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও ইকোলজিক্যাল ভারসাম্য রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন দেশের কয়েকজন পরিবেশবিদ ও স্থপতি। তারা বলেন, যে কোন অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য সমন্বয় করে কাজ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বারোপ করতে হবে। তা না হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ হয়ে উঠবে আরো বেশি প্রতিশোধ পরায়ণ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে স্থপতি মীর মেজবাহ আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট স্থপতি ও পরিবেশবিদ মিজানুর রহমান প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। কিন্তু প্রকৃতির অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে মানবজাতি তার মেধা ও বৈশিষ্টের দিক থেকে এগিয়ে থাকার কারণে তারা শুধু নিজের স্বার্থকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। উন্নয়ন এবং বিকাশের ক্ষেত্রে মানুষ প্রকৃতির অন্য কোনো প্রাণীর স্বার্থকে বিবেচনায় রাখে না। তাই কখনো কখনো প্রকৃতিও মানুষের প্রতি রুষ্ঠ হয়ে ওঠে। তিনি বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়নের ভিশনকে সাধুবাদ জানান এবং পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্ব কাজের প্রতি বিশেষ জোর দেন।
গ্রীন প্ল্যানেট, চট্টগ্রাম আয়োজিত ‘পরিবেশ রক্ষায় নাগরিক উদ্যোগ’ শীর্ষক এই এই সেমিনারের আয়োজন করে। আলোচনা করেন, স্থপতি জাবেদ আকরাম রুমেল, স্থপতি মো. আকরামুর হোসাইন বাপ্পী। স্থপতি মিজানুর রহমান স্টাইল লিভিং আরকিটেক্ট-এর পক্ষ থেকে প্রকৃতি, জীব-বৈচিত্র্য, টেকসই উন্নয়ন অবকাঠামো, গ্রিন ও ব্লু-ইকোনমি ও আরবান অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন।
মাল্টিমিডিয়া প্রজেকশনের মাধ্যমে পতেঙ্গা বিচ প্রজেক্ট ও কর্ণফূলী নদীর তীর উন্নয়নসহ শাহ আমানত ব্রীজ পয়েন্ট থেকে কালুরঘাট ব্রিজ পয়েন্ট পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার মেরিন রোডসহ বিভিন্ন অবকাঠানো উন্নয়নের প্রস্তাবিত প্রকল্পের থ্রিডি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।
তিনি আরো জানান, পতেঙ্গা বিচ প্রকল্প ও কর্ণফূলী মেরিন রোড প্রকল্প বাস্তবায়নে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। কর্ণফূলী মেরিন রোড প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথভাবে সম্পাদন করবেন বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন