মিষ্টি কারখানায় দুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে মহাসড়কে দুধ ঢেলে প্রতিবাদ করেছেন খামারিরা। রবিবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক আখতারুজ্জামান চত্বরে দুধ ঢেলে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা ফার্মার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার জানান, মিষ্টির কারখানাগুলো ৭ বছর আগে নির্ধারিত দামে এখনো দুধ কিনছে। এদিকে ৭ বছর আগে যে কর্মচারীর বেতন ছিল ৭-১০ হাজার টাকা এখন তা ১৫-২০ হাজার টাকা হয়েছে।
আগে যে গোখাদ্যের দাম ছিল ২৪ টাকা, এখন তা বেড়ে ৩৭-৩৮ টাকায় দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দাম বাড়ানোর জন্য আমরা অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মিষ্টি কারখানাগুলোকে চিঠি দিয়েছি। এরপর আলোচনায় বসলে লিটার প্রতি মাত্র ১ টাকা বাড়ানো হবে বলে জানান তারা।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা ডেইরি ফার্মার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজিম উদ্দিন হায়দার ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মো. হারুন, কার্যকরী সভাপতি জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফোরকান, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন রোকন, খামারি মোহাম্মদ নুর, জাকেরিয়া, মো. মাসুদ, মো. সোহেল, মো. নুরুদ্দিন, কামরুল ইসলাম, মো. রফিকসহ পটিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলার শতাধিক খামারি উপস্থিত ছিলেন।
খামারিদের সূত্রে জানা গেছে, নগরের মিষ্টি কারখানাগুলোতে খামারিরা প্রতি লিটার দুধ দিয়ে থাকেন ৪৮-৫৩ টাকায়। মিল্কভিটার দুগ্ধ শীতলীকরণ প্ল্যান্টে প্রতি লিটার দুধ মান ভেদে ৩৮-৫৫ টাকা পর্যন্ত কেনা হয়। তারা খামারিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দিয়ে থাকে।
কিন্তু ওই দুধ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে প্রক্রিয়া করতে হয়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪ হাজার দুগ্ধ খামারি মিল্কভিটার দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এ জনপদে প্রতিদিন ৫০ হাজার লিটারের বেশি দুধ উৎপাদন হয়।
নাজিম উদ্দিন হায়দার বলেন, সিন্ডিকেটের কাছে খামারিরা অসহায়। তারা নিজেদের অর্থ, শ্রমে উৎপাদিত গরুর দুধের দাম নির্ধারণ করতে পারছে না। যদি মিষ্টি কারখানাগুলো দুধের ন্যায্যমূল্য না দেয় তবে আমরা দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহরের মিষ্টি কারখানায় দুধ নিয়ে যেতে দেব না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর