চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন। মঙ্গলবার সকালে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের কার্যালয়ে সাক্ষাত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম ও এলআই ইউপিসি প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান।
এ সময় খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বন্দরের অবস্থান ও বহুমাত্রিক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আন্ত:দেশীয় গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল। তাই চট্টগ্রাম শতভাগ সম্ভাবনাময়ী। চট্টগ্রাম শিল্প-বাণিজ্য-পর্যটন খাতে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ব্রিটিশ সু-সভ্যতার স্পর্শে ধন্য হয়ে যথেষ্ট আলোকিত। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ সভ্যতার ছাপ সুস্পষ্ট। রেলের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তরসহ অনেকগুলো ভিক্টোরিয়াল স্থাপত্যরীতি তারই সাক্ষ্য বহন করে। একাধিক ব্রিটিশ কোম্পানি এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি সোপান তৈরি করে দিয়েছে। চায়ের বাগান ও এই শিল্পের বিকাশ ব্রিটিশদের হাত ধরেই গোড়াপত্তন হয়েছে। চট্টগ্রামের বাগান থেকে উৎপাদিত চা বিশ্ব সেরা। এগুলো এখন বাঙালি মালিকানাধীন। সব মিলিয়ে ব্রিটিশের সাথে চট্টগ্রামের সুমধুর বন্ধনের স্মৃতি জ্বলজ্বল করে।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বরার্ট চ্যাটারটন ডিকশন চসিক প্রশাসকের আহবানকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি ও আর্থ-সামাজিক চিত্র সম্পর্কে আমাদের পূর্বসূরীদের ভালো অভিজ্ঞতা আছে। চট্টগ্রামে বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কেও আমাদের জানা আছে। তাই এখানে আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী। এখানে চীন, কোরিয়া ও জাপানের বিনিয়োগকারীরা যে-ধরণের সুযোগ-সুবিধা ও নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পান সেভাবে আমরা পেলে এবং পরিবেশ অনুকূল থাকলে আন্তঃদেশীয় ও আন্তঃমহাদেশীয় আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রযাত্রার স্বার্থে ব্রিটিশ বিনিয়োগের ঢল নামবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার