চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরশেনের (চসিক) প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, শহরের উন্নয়নের স্বার্থে নগরীর অধিবাসীরা পৌরকর পরিশোধ করুন। কারণ কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হয়। কাজেই সেবা পেতে পৌরকর দিন ও ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করে ফেলুন। তাছাড়া পৌরকর দিয়েই নগরের সিংহভাগ উন্নয়ন সাধিত হয়।
সোমবার দুপুরে নগরের বেপারী পাড়াস্থ আগ্রাবাদ সিটি কর্পোরেশন কমপ্লেক্স চত্বরে রাজস্ব সার্কেল-৭ এর স্পট হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর কর্মকর্তা (কর) জসীম উদ্দীন চৌধুরী ও উপ-কর কর্মকর্তা (লাইসেন্স) কৃষ্ণ প্রসাদ দাশ।
প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, শহরের মালিক নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসী। নাগরিকদের অধিকার রয়েছে চসিকের সেবা পাওয়ার। আমি চেষ্টা করেছি নগরকে পরিচ্ছন্ন, মানবিক ও পরিবেশ বন্ধব রাখতে। এর জন্য দরকার অর্থ।
তিনি বলেন, বাজার খরচ, বিদ্যুত-পানি পেতে বিল দিতে হয়। তাহলে পৌরকর ছাড়া কিভাবে নাগরিকসেবা দেয়া সম্ভব? কর্পোরেশন কোন ধরনের কর বাড়ায়নি। পূর্বের রেটে পৌর কর নিচ্ছে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে সারচার্জ ছাড়া পৌরকর ও ট্রেড লাইসেন্স নেয়া যাবে। আশাকরি নগরবাসী ও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ গ্রহণ করবেন।
প্রশাসক বলেন, নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে বন্দর, কাস্টমস্, রেলওয়েসহ অন্যান্য বড় শিল্প কারখানার কাছ থেকে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করা হয়েছে। কাস্টমস চট্টগ্রাম শহর থেকে বছরে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকার আয় করে। বন্দরেও হাজার হাজার কোটি টাকা আয়। অপরদিকে নগরের বেশির ভাগ জায়গা রেলের দখলে। অধিগ্রহণ ও লিজের নামে এসব জায়গা বছরের পর বছর দখলে রেখে কোন উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে না। আর তাদের এসব জায়গা জমির অনেকগুলোই এখন গুন্ডা মাস্তানের দখলে। কর্পোরেশন রেলের একটি জায়গা নিতে দুটো ইনস্টলমেন্ট পরিশোধ ও উচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এখনো তা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এভাবে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার