ই-কমার্স ভিত্তিক নানান প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট ও পেজে ঘুরে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন সন্ধান করা তাদের নিত্য দিনের কাজ। দামি ব্যান্ডের মোবাইল এবং ল্যাপটপ বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখলেই ক্রেতা বেশে দেয় টোপ। এরপর শুরু হয় দর দামের নাটক। এক পর্যায়ে বিশ্বাস জন্মানোর জন্য ক্রেতার বাসা থেকে নিয়ে আসা হয় মোবাইল কিংবা ল্যাপটপ। বিক্রেতা যখন বুঝতে পারে পণ্য বিক্রির টাকাগুলো জাল তখন ক্রেতার আর হদিস পায় না। একে অভিন্ন প্রতারক চক্রটি একের পর এক প্রতারণা করে আসছিল। অবশেষে এ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তারা হলেন-মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খান এবং মারুফ মোল্লা।
সোমবার তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার হামিদুল আলম বলেন, ‘অভিনব প্রতারক চক্রটি জাল টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ কিনত। কৌশলে কারণে বেচা-কেনা সময় বিক্রেতা বুঝতে পারতো না টাকাগুলো জাল। প্রতারণার বিষয়টা বুঝার পর বিক্রেতার কিছু করার থাকতো না। অভিন্ন কায়দায় এ পর্যন্ত ১২টি প্রতারণা করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের প্রতারণা বিষয়ে আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, এ চক্রের হাতে প্রতারিত হওয়া আমেরিকান এক প্রবাসীর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের সন্ধান মেলে। এরপর মহিউদ্দিন ও মারুফকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল সেট ছাড়াও একটি ‘স্যামসাং নোট-১০ প্লাস, একটি উইন স্টার মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ এবং ৩৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার