প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেশব্যাপী কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরীর মোহরা ওয়ার্ডস্থ ধান কাটার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলা ধান কাটার কর্মসূচিতে কৃষকদের সাথে শতাধিক তরুণ নেতাকর্মী অংশ নেন।
ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও নগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দেবাশীষ আচার্য্য এর উদ্যোগে আয়োজিত ধান কাটা উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ কর্মবীর আবদুচ ছালাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মোহাম্মদ নুরুল আমিন মামুন। করোনার এমন দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চাষিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুচ ছালাম বলেন, ‘করোনা ও লকডাউনের কারণে ধান কাটা নিয়ে শ্রমিক সংকটে পড়েছেন চাষিরা। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অসহায় চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। কৃষকদের সাথে ধান কাটার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। এমন উদ্যোগে কৃষকদের সাথে নিয়ে ধান কাটার ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাবে।’
কাউন্সিলর কাজী মোহাম্মদ নুরুল আমিন মামুন বলেন, ‘এমন উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমি আনন্দিত। এজন্য উদ্যোক্তা দেবাশীষ আচার্য্য প্রশংসার দাবিদার।’
উদ্যোক্তা দেবাশীষ আচার্য্য বলেন, ‘কৃষক বন্ধু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দেশব্যাপী কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচির অংশ হিসেবে ধান কাটার ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছি। করোনার এমন দুঃসময়ে চাষিদের পাশে থেকে ধান কেটে দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আগামীতেও কৃষকের সাথে ধান কাটার এমন আরও উদ্যোগ নেব। কৃষক শ্রমিকের অভাবে কোথাও ধান না কাটতে পারলে আমাদের জানালে আমরা ধান কেটে দেব।’
ধান কাটায় অংশ নেন যুবনেতা ইমরান হোসাইন জিয়া, পাচাঁলাইশ ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ খান মিলন, চান্দঁগাও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি বিশ্বাস, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গোলাম মোস্তাফা, নুরনবী সোহান, শাকিল খান, জেকি ধর, সুমন দাশ, আব্দুল মালেক, মোস্থাফা কামাল, টুটুল দাশ, সুদিপ শর্মা, সুজন দাশ ইভান, অনিক ধর, কৃষ্ণ ঘোষ, মো. লোকমান, হৃদয় দেব নাথ, কৃষ্ণ দাশ, সুবেল দাশ, মো. মানিক, সাগর ধর প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন