দুর্ধর্ষ চোর সিন্ডিকেটে সদস্য ওরা। রাতে তিন জন সিএনজি নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাজপথে। টার্গেট করেন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংককে। প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরা নষ্ট করে মূল্যবান জিনিসপত্র ও টাকা নিয়ে দেয় চম্পট। এভাবে গত পাঁচ বছরে কমপক্ষে আড়াই শতাধিক ছুরি করে তারা।
একটি বেসরকারি ব্যাংক চুরির চেষ্টা এবং একটি প্রতিষ্ঠানের ২৮ লাখ টাকার চুরির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে সন্ধান মেলে দুর্ধর্ষ এ চোর চক্রের। অভিযানে গ্রেফতার করা হয়- মো. মনির হোসেন, মো. মাহফুজ ও মনিরের স্ত্রী খুকু মনিকে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে চুরি করা ২৭ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। শুক্রবার রাতে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
সিএমপি উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক বলেন, গত ১৯ মে নগরীর জুবলী রোডে অবস্থিত বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে চুরির চেষ্টা এবং চতুর্থ তলার বাংলাদেশ সাপ্লাইয়ার্স নামে যন্ত্রপাতি বিক্রির প্রতিষ্ঠানে চুরির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। ১৮ মে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে পরদিন ভোরের মধ্যে এ চুরি ও চুরির চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয় মামলায়।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোরের ছবি শনাক্তের পর শুক্রবার রাতে নগরীর পুরাতন রেল স্টেশনের পার্কিং এলাকা থেকে সিএনজি চালক মাহফুজকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি করা ২৭ লাখ টাকা।
কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, এ চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও অফিসকে টার্গেট করে চুরি করে। ভবনের পেছনে পানি কিংবা বাথরুমের পাইপ দিয়ে ভবনে উঠে গ্রিল ভেঙে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। অতঃপর সিসি ক্যামেরার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ডিভিআরটি (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার) খুলে ফেলে এবং পানিতে চুবিয়ে তা নষ্ট করে ফেলে। এ ভাবে করে গত পাঁচ বছরে মনির অন্তত ২৫০টি চুরির করেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর