বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানলে নগরের উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুত রাখ হয়েছে ৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
জানা যায়, চসিক ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় খুলেছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (নম্বর: ০৩১-৬৩৩৬৪৯), গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম, প্রস্তুত রাখা হয়েছে চার হাজার সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবক। তাছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেতের ওপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিংসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
চসিকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রধান কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম বলেন, পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলীসহ উপকূলীয় ওয়ার্ডগুলোতে ঘূর্ণিঝড়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড কার্যালয়কে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং দামপাড়ায় চসিকের প্রধান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক ১০) বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার ও পায়রা বন্দর থেকে ৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। ইয়াসের কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর