স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম নগরীর পানি কর্ণফুলী নদীতে পড়ার অন্যতম পথ চাক্তাই খালের মুখের সংকীর্ণ মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।
শনিবার বিকালে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের চাক্তাই খালের ওপর ব্রিজ ও খালের মুখের স্লুইচ গেইট অংশবিশেষ পরিদর্শনকালে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসময় স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, খালের মুখের প্রশস্ততা খুব সংকীর্ণ। এর প্রশস্ততা যতটুকু বড় হওয়া উচিত তা হয়নি। এতে জলাবদ্ধাতা নিরসনে মেগা প্রকল্পের কার্যকারিতা ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষকে খালের মুখের প্রশস্ততা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিশীলতা ও কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু কাউকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। যে কোন মেগা প্রকল্প বাস্তাবয়নে উপকার ভোগীদের সাময়িক ভোগান্তি হবেই। বড় কিছু প্রাপ্তির আশায় সাময়িক দুর্ভোগ মেনে নিতে হয় এবং এটাই বাস্তবতা। তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রকল্পের গুণগত মান রক্ষা করা এবং এজন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বড় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, কোন ভরাট খাল পুনরুদ্ধার বা নতুন কোন খাল খনন করার প্রয়োজন হলে সক্ষমতা সাপেক্ষে সিটি কর্পোরেশন করতে পারে।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, ওয়াসার এমডি একেএম ফজলুল্লাহ, জলাবদ্ধতা প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ্ আলী, চসিক পানি ও বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মোরশেদ আলম, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, পুলক খাস্তগীর, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির ইকবাল, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত