চট্টগ্রামে গত ২১ জুলাই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪২৮ জন, ২২ জুলাই ৪৫১ জন, ২৩ জুলাই ৩০১ জন। কিন্তু কোরবানির ঈদের চারদিন পর গত ২৪ জুলাই আক্রান্ত হয় দ্বিগুণ, ৮০১ জন এবং গত রবিবার আক্রান্ত হয় ৮৪৮ জন। একদিনের ব্যবধানে নতুন শনাক্ত বেড়েছে ৫০০ জন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, চট্টগ্রামে ঈদ পরবর্তী সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২ হাজার ২৮২টি। এর মধ্যে আক্রান্ত হয় ৮৪৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে মহানগর এলাকায় ৫৮০ জন এবং ১৫ উপজেলায় ২৬৮ জন। গত রবিবার একদিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ জন। এর মধ্যে উপজেলায় ৮ জন ও মহানগরে ৪ জন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলাফেরা করার ব্যাপারে আমরা ঈদের আগেই সবাইকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তা মানে নি। এখন ঈদের পর সংক্রমণ আবারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। এভাবে বাড়তে থাকলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায়ও সংকট দেখা দিতে পারে। তাই সকলকেই আরও অধিকহারে সচেতন ও সতর্ক হওয়া জরুরি। একই সঙ্গে মানতে হবে চলমান লকডাউন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. রাজদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই শয্যার জন্য ফোন আসলেও পরবর্তীতে যোগাযোগ করতে বলে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। এমন অবস্থা আর কতদিন চলবে জানি না। এরই মধ্যে ঈদ পরবর্তী করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হয়ে গেছে। তবে একটা উদ্বেগ ও স্পর্শকাতর বিষয় হল- আইসিইউতে ভর্তি অত্যন্ত সংকটাপন্ন রোগীর মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশির বয়স ৫০ বছরে নীচে। অথচ হাসপাতাল থেকে দায়িত্বপালন শেষে বাসায় ফেরার পথে দেখালাম- অনেকেই হাস্যেজ্জ্বল মুখে মাস্ক ছাড়াই দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখন তারা সচেতন ও সতর্ক হবে জানি না। তাই সাবধান হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
জানা যায়, গত শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৩২৬ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫৭ হাজার ৫৮৯ জন এবং ১৫ উপজেলায় ১৮ হাজার ৭৩৭ জন। ইতোমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৯৭ জন। এর মধ্যে মহনগরে ৫৪৭ জন এবং উপজেলার ৩৫০ জন। চট্টগ্রামে সরকারি বেসরকারি ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার