২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৯

চমেক হাসপাতালে চলছে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চমেক হাসপাতালে চলছে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হয়েছে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ইনফার্টিলিটি ইউনিট। এটি দেশে এ চিকিৎসায় দ্বিতীয় ইউনিট। স্বাধীনতার পর চট্টগ্রামে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায় ইনফার্টিলিটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। চিকিৎসাটি ব্যয়বহুল হওয়ায় চট্টগ্রামের মত বিভাগীয় শহরেও ছিল না এ সেবা।  

চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ হাসপাতালে ইনফার্টিলিটি ইউনিট চালু হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। চালুর পর থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭০৭ জন। এর মধ্যে নতুন রোগী ২৮৯ জন, পুরনো রোগী ১৯৮ জন এবং ট্রান্সভ্যাজাইনাল সনোগ্রাফি (টিভিএস) করেছেন ২২০ জন।

চিকিৎসকরা বলছেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসা ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ দম্পতির এই জটিলতা নিরসন সম্ভব। এর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ও সচেতনতা মেনে চলা জরুরি। তবে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো না থাকায় চট্টগ্রামে এই বিষয়ে ছিল না কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে স্ত্রী ও প্রসূতিরোগ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে চলতো চিকিৎসা।  

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগী বলেন, চট্টগ্রামে বন্ধ্যাত্ব নিয়ে চিকিৎসা নেই বললেই চলে। বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও এর কোনো সঠিক সমাধান পাওয়া যায় না। তবে চমেক হাসপাতালে এ চিকিৎসা চালু হওয়ায় রোগীদের সুফল মিলবে।

চমেক হাসপাতালে ইনফার্টিলিটি বিভাগের প্রধান ডা. তাসলিমা বেগম বলেন, বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা এক সময় রাজধানী ঢাকা ছাড়া অন্য কোথাও হত না। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে চলে যেত। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চমেক হাসপাতালে এর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সদ্য প্রতিষ্ঠিত এই ইউনিটে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এর মধ্যেও আমরা চিকিৎসা সেবা প্রদান করছি। কোনো কিছু শুরু না হলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তিনি বলেন, রোগীদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এ ইউনিটের সকল চিকিৎসক ও নার্স। এই চিকিৎসা অনেকটা ব্যয়বহুল। তবে সরকারি হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে কম খরচে চিকিৎসা পাচ্ছেন রোগীরা।   

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে চমেক হাসপাতালে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় ইনফার্টিলিটি ইউনিট চালু করা হয়েছে। নতুন ইউনিট চালু হলে প্রথম দিকে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে, এখানেও আছে। সকলের সদিচ্ছায় ইউনিটটি এগিয়ে যাবে। এখানে  সাধারণ ও গরীব রোগীরা কম মূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর