জনগণের ভালোলাগা ও গর্বের জায়গা পদ্মা সেতু এমন কথা জানিয়ে যুবলীগের চেয়্যারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, পদ্মা সেতু নিয়ে আজ বিএনপি-জামায়াত অসন্তুষ্ট। তারা এই সেতুর বিষয়ে একাত্মতা পোষণ করতে পারছে না। এই পদ্মা সেতু আজ তৈরি করা হয়েছে ঋণ নিয়ে নয়, নিজ অর্থে করা হয়েছে। এখন বিএনপি বলছে, সেতু নির্মাণে টাকা বেশি খরচ হয়েছে। যুবলীগ যদি প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গল্প নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে যায়, তাহলে বিএনপি-জামাতের অস্তিত্ব থাকবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, যতদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন, ততদিন বাংলাদেশ তালেবান বা শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশে দুইটি পক্ষ রয়েছে, তাদের একটি পক্ষ দেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে চায়। অন্য পক্ষ শ্রীলঙ্কা বানাতে চায়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যতদিন থাকবে ততদিন তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের মাটি কখনও মিথ্যাচার, অন্যায় অবিচারকে প্রশ্রয় দেয়নি। সম্মেলনে দেশপ্রেমিক কর্মীবান্ধব জনদরদী নেতৃত্ব নির্বাচন করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। আপনারা গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন, যে নেতৃত্ব সৎ ও মানবিকতার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করবে। আগামী নির্বাচনে সবাইকে কাজ করতে হবে। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে মেধাসম্পন্ন সুদৃঢ় নেতৃত্ব দরকার। কে হবে নেতা, তার চেয়ে বড় কথা নেতৃত্ব কেমন হবে? পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য যোগ্য নেতৃত্ব দরকার।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, এক অদৃশ্য কারণে ২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোয়ারের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণে দুইটি আসনে জয়ী হয়েছিল। যোগ্য নেতৃত্বে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে পরিণত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ স্বাধীনতা বিরোধীদের ভয় পায় না। বাংলাদেশের উন্নয়ন রোল মডেল, এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে। যে নেতৃত্বের নাম শেখ হাসিনা। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী যুবলীগকে মাঠে ও মানুষের পাশে থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ী করার লক্ষ্যে আমাদের যুবলীগ কাজ করে যাবে।
দলীয় নেতাকর্মী যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ছাড় দেওয়া হয়নি। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্মেলনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দীন, উপ ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, সহ-সম্পাদক মো. নাসির উদ্দীন মিন্টু ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের পার্থ সারথি চৌধুরী।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন