বর্ষা মৌসুমে শ্রাবণের বারিধারায় আবহাওয়া ঠাণ্ডা-শীতল থাকবে, এমনটিই আশা সকলের। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে গ্রীষ্ম মৌসুমকেও হার মানা গরম পড়েছে। ফলে অতিষ্ট জনজীবন। এমন অবস্থায় শ্রাবণের বৃষ্টি স্বস্তি ফিরিয়েছে নাগরিক জীবনে। কিন্তু বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে জলজট। ফলে জলজট স্বস্তির বৃষ্টিকে অস্বস্তি করে তুলেছে।
নগরবাসীর অভিযোগ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত নালা নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার করার কথা। কিন্তু এখন তা করা হচ্ছে না। এ কারণে নালা ড্রেন দিয়ে পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলজট।
পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে। এছাড়াও একই সময়ে ২৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার তাপমাত্রাও রের্কড করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। ভোরে এবং দুপুরে টানা বৃষ্টি হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে মৌসুমী বায়ু এখন সক্রিয়। এর বর্ধিতাংশ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ সময়ে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকলে ভারী বৃষ্টিপাত হবে, সক্রিয়তা কমে এলে থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। আগামী দু'দিন চট্টগ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
সকালে ভারী বর্ষণের মধ্যে বাইরে বের হয়ে বিপাকে পড়তে হয় চাকরিজীবী ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। ভারী বর্ষণের কারণে সকালের দিকে সড়কে যানবাহনও ছিল কম। বৃষ্টিতে নগরীর দুই নম্বর গেইট, চকবাজার কাঁচা বাজার, চান্দগাঁও, সিডিএ আবাসিক এলাকা, আগ্রাবাদের কিছু অংশ, বাকলিয়ার কয়েকটি এলাকা, ডিসি রোড, হালিশহর ওয়াপদা সংলগ্ন এলাকা, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, শুলকবহর ও মুরাদপুরে জলাবদ্ধাতা সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু এলাকা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন