৫ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:১৫

পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

পতেঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল

বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে মানুষের ঢল নেমেছে। বুধবার দুপুর আড়াইটায় শুরু হওয়া প্রতিমা বিসর্জন শেষ হয় সন্ধ্যায়। তেল-সিঁদুর পরিয়ে, পান, মিষ্টি মুখে দিয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ভিড় করেছেন ভক্ত ও অনুরাগীরা। এ সময় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানটি হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

জানা যায়, সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ থেকে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ট্রাকবাহী প্রতিমা নিয়ে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করেন পতেঙ্গা সৈকতে। এরপর শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা। এর আগে সকালে দশ উপাচারে দেবীর বিহিত পূজা ও দর্পণ বিসর্জন সম্পন্ন হয়। এর মধ্য দিয়েই শেষ হয় শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পরে দেবীর চরণে ফুল, সিঁদুর, বেলপাতা ও মিষ্টি দিয়ে বিভিন্ন আচার পালন করে ভক্তরা। লাল রঙকে শক্তির প্রতীক হিসেবে মনে করে নারীরা একে অপরের মাথায় সিঁদুর ছোঁয়ান। দীর্ঘায়ু কামনা করেন পরিবারের সদস্যদের।

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, এ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলসহ ১৬টি থানায় ব্যক্তিগত, ঘটপূজাসহ ২৮২টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়। পরিষদের পক্ষ থেকে সবাইকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য বলে দেয়া হয়েছে। ধর্মীয় রীতি মেনে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল-২, অভয়মিত্র ঘাট এবং কালুরঘাট সেতু এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। গত কয়েক বছর করোনার কারণে পূজার্থীরা প্রতিমা বিসর্জনে স্বতঃস্ফূত অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। এ বছর কোনো বিধি নিষেধ না থাকা সকলে নির্বিঘ্নে বিসর্জন দিতে পেরেছেন।  

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সাগরে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছেন। সৈকত ও আশপাশ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর