২৬ মে, ২০২৪ ১৮:৫৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল, চসিকের ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

ঘূর্ণিঝড় রেমাল, চসিকের ৮১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) পরিচালিত ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। রবিবার দুপুরে চসিকের টাইগারপাসস্থ কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় এ ঘোষণা দেন মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিক এ সিদ্ধান্ত নেয়।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, সোমবার চসিকের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানলে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চসিকের ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর আগে গত শনিবার সকাল থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করা শুরু হয়েছে। দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগস্থ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সঙ্গে তদারক করতে বলা হয়েছে।  

তিনি বলেন, চসিকের সবগুলো বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করব যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে কোন সংস্থার গাফিলতির জন্য মানুষ কষ্ট না পায়।  

মেয়র বলেন, পাহাড়ের পাদদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাউন্সিলররা কাজ করছেন। উপক‚লীয় এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে। ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের প্রতি আহŸান আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানি যাতে নালায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য ছোট ছোট টিম গঠন করে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম চলছে।

চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমাম হোসেন রানা বলেন, কন্ট্রোল রুমের সাথে সমন্বয় করে ৩ শিফটে ৩টি মেডিকেল টিম ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে। এছাড়া, ৬টি উপকূলীয় ও পাহাড়সমৃদ্ধ এলাকার জন্য গঠন করা হয়েছে স্পেশাল টিম।

বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী বলেন, দুর্যোগে নগরীর বিদ্যুতায়ন ও আলোকায়ন অব্যাহত রাখতে চসিকের গঠিত রেসকিউ টিম সক্রিয় আছে।

সিটি রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি আবদুল জব্বার বলেন, গত শনিবার সকাল থেকেই চসিকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে রেড ক্রিসেন্টের ভলান্টিয়াররা। এছাড়া সরকারের গাইডলাইন বাস্তবায়নে কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চসিক সচিব আশরাফুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালামসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও বিভাগীয় ও শাখা প্রধানবৃন্দ। পরে মেয়র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দুর্যোগ পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর