চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে নগরের ৫ লাখ ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে। আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
চসিক এবার ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৮৫ হাজার শিশুকে একটি করে নীল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে একটি করে লাল রঙের (২ লাখ আইইউ) ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চসিক জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানোা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইমাম হোসেন রানা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, আবদুস সালাম মাসুম, চসিকের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, ডা. তপন চক্রবর্তী, ডা. সুমন তালুকদার, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. দিদারুল মুনির রুবেল, জুয়েল মহাজন, আকিল মাহমুদ নাফে, ভ্যাকসিন ইনচার্জ আবু সালেহ, শাহনাজ আকতার, জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ক্যাম্পেইনে সঙ্গে মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতে গর্ভবতী ও প্রসূতি মাকে বেশি পরিমাণ ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ প্রাণিজ খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, কলিজা) ও হলুদ ফলমূল ও রঙিন শাক এবং জন্মের পর এক ঘণ্টার মধ্যে নবজাতককে শাল দুধ ও ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শিশুর রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং শিশুকে অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাবে।
গত ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিক ৬-১১ মাসের ৭৯ হাজার ৮৯৫ শিশুকে নীল ও ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
