চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চালু হলো পৃথক ২০ শয্যার শিশু কিডনি ওয়ার্ড। শনিবার সকাল ৯টায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নতুন এই ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পিএনএসবির সাবেক সভাপতি প্রথিতযশা শিশু কিডনি চিকিৎসক প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হানিফ।
হাসপাতালের শিশু কিডনি ওয়ার্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. সনৎ কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন, উপ-পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আবদুর রব, চট্টগ্রাম মেরিন সিটি হাসপাতালের শিশু বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. বাসনা রাণী মুহুরী, কিডনি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. নুরুল হুদা, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ মুছা মিয়া, বিপিএর সাবেক সদস্য সচিব ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, শিশু সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ডা. গোলাম হাবিব ও ডা. কিরিটি প্রসাদ দেব।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারুফ-উল-কাদের। শিশু কিডনি ওয়ার্ডের চিকিৎসার বিষয়ক ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডা. সুস্মিতা সেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ডা. তাসফিসা তাবাসসুম।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হানিফ বলেন, চমেক হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগীর জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালু হলো। এর মাধ্যমে শিশু কিডনি রোগীর জন্য আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। শিশু স্বাস্থ্যসেবায় নবতর এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। দেশে শিশু কিডনি রোগী বাড়ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। দেশে এখন চিকিৎসাসেবার মান বেড়েছে। এখানে রোগীরা উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা পাবে। ঢাকা নির্ভরতা কমে আসবে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তসলিম উদ্দিন বলেন, শিশু রোগীদের উন্নত ও নিরাপদ চিকিৎসাসেবার পরিবেশ নিশ্চিতে আমরা সদা সচেষ্ট। রোগীদের স্বজনরাও এতে অনেকটা স্বস্তি পাবেন। পর্যায়ক্রমে নতুন শিশু কিডনি ওয়ার্ডের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
শিশু কিডনি রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারুফ-উল-কাদের বলেন, এখন আলাদা ওয়ার্ডে শিশুদের সুরক্ষিত পরিবেশে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া অনেক সহজ হবে। কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ চট্টগ্রামবাসীর জন্য বড় সুখবর। এতে শিশু রোগীরা ডায়ালাইসিস সুবিধাসহ সব ধরনের সুবিধা পাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর চমেক হাসপাতালে শিশু কিডনি রোগীদের চিকিৎসার জন্য চালু করা হয়েছিল ১১ শয্যার একটি ওয়ার্ড। তখন শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের ভেতরে গাদাগাদি করে চিকিৎসাসেবা দিতে হতো। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ১৫টি করা হয়। তবে শিশু রোগীদের ঝুঁকি ও ভোগান্তি এবং চাহিদার কথা চিন্তা করে সুরক্ষিত পরিবেশে এই আলাদা-স্বতন্ত্র ওয়ার্ড চালু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল