দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে লাশ ফেলে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে একটি রাজনৈতিক শ্রেণি সবসময় তৎপর রয়েছে। তারা চায় দেশের বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক।
বুধবার সকালে পঞ্চগড় সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে মতবিনিময়ে ঢাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার তেঁতুলিয়া মহাবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পঞ্চগড় জেলা রোভার মুটেরর ক্যাম্প ফায়ার ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেয়ার জন্য তিনি পঞ্চগড় এসেছিলেন। মতবিনিময় সভায় উপস্থিত স্থানীয় সাংবাদিকরা মফস্বল সাংবাদিকতার নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা ছাড়াও পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও সহকারি কমিশনার শাহীন রেজা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশের গণমাধ্যম অনেক এগিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করার পেছনে এদেশে রাজনৈতিক চেষ্টা থাকে। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের সংবাদের পেছনের সংবাদও পরিবেশন করা উচিত।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, সরকার আন্তরিক হলে পঞ্চগড় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তাঁর মতে, এই জেলাটি নানা দিক থেকে সমৃদ্ধ। কৃষি, ব্যবসা, পর্যটন ছাড়াও বিশেষ করে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মনে করেন।
তৃণমূল পর্যায়ে শিকক্ষদের অপরাজনীতিতে জড়ানো সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষকদের রাজনীতি করার অধিকার সারা পৃথিবীতে রয়েছে। এই সুযোগকে কেউ অপব্যবহার করলে সেটি দেশের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ঢাবি উপাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যম ব্যপারে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। না হলে বিডিআর হত্যাকান্ডের চিত্রগুলো সরাসরি সম্প্রচার হতো না। অন্য দেশে এমন ঘটনা ঘটলে সরকার টিভি চ্যানেলগুলোকে লাইভ প্রচার করতে দিতো না।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব