কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রবিবার বিকাল থেকে তাদের কুমিল্লাা সিআইডি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
চিকিৎসকরা হলেন: কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহা ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. শারমিন সুলতানা। সিআইডি কুমিল্লার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তনুর প্রথম ময়নাতদন্তে বলা হয়, ধর্ষণের আলামত মিলেনি। মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণও জানা যায়নি। এদিকে এ প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তনুর পরিবার। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন বলেছিলেন, ডাক্তাররা কি রিপোর্ট দিয়েছে তা আমি জানি না, আমি আমার মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ সিএমএইচে নিয়ে গেছি। আমার মেয়ে খুন হয়েছে, এখন ডাক্তাররা এসব কি বলছে, তাহলে কি আমার তনুকে জ্বিনে মেরেছে ?
উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই দিন ডা. কামদা প্রসাদ সাহা জানান, তনুর শরীরে যে দুইটি আঘাত ছিল তা মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট নয়, তাছাড়া তাকে ধর্ষণেরও আলামত মিলেনি।
গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের বাসার নিকটে তনুর মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ও ডিবির পর এখন মামলাটি তদন্ত করছেন সিআইডি কুমিল্লার পরিদর্শক গাজী মো. ইব্রাহিম। ৩০ মার্চ ২য় ময়নাতদন্তের জন্য তনুর লাশ কবর থেকে তোলা হয়। এখনও ২য় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ১০ এপ্রিল, ২০১৬/ রশিদা