দেশের শতকরা ৫৭ শতাংশ শিশু শ্রমিক মারধর, ৬৬ শতাংশ গৃহকর্মী মানসিক নির্যাতন এবং ৭ শতাংশ ধর্ষণের শিকার হয়।
রবিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত ৬০০ শিশু শ্রমিকের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির পক্ষে গবেষণাটি করেছে দ্য নিলসেন কোম্পানি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ শিশু। এরা আমাদের ভবিষ্যৎ। সরকারের একার পক্ষে শিশুদের দেখভাল করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে পিতা-মাতার পাশাপাশি শিশুদের নিয়ে কাজ করা দেশের বিভিন্ন সংস্থাকে তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, কোন শিশুকে যেন ভবঘুরে হতে না হয় এবং রাতে ভালো পরিবেশে ঘুমাতে পারে সে লক্ষে মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ শুরু করেছে।
শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত রেখে কোন দেশ মধ্যম আয়ের লক্ষে পৌঁছাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন সরকারের এই মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ১১ বছর বয়স থেকেই শিশুরা শ্রমে নিয়োজিত হয়। শতকরা ৭৯ ভাগ শিশু শ্রমিক প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই স্কুল থেকে ঝরে পড়ে। এছাড়া মাসে এক হাজার ৪০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিকে বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে শিশু শ্রমিকরা দৈনিক ১০ ঘণ্টার উপরে কাজ করছে।
বিডি-প্রতিদিন/১১ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব