পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের কর্মীকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন গ্রুপের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের এক গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রতক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিনের সাথে ইংরেজি বিভাগে ০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী জাহিদের কথা কাটাকাটি হয়। তবে ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যায়। এই ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগ নেতা শাহিন গ্রুপের কর্মীরা আজ জাহিদকে বেধড়ক পেটিয়েছে।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদ তার বন্ধুদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতা শাহিনের নির্দেশে ছাত্রলীগ ক্যাডার গোলাম মোস্তাফা ওরফে প্রেমিক ক্যাডার, রিজভী আহমেদ, আ. সালামসহ ৬-৭ জন সেখানে গিয়ে জাহিদকে বেধড়ক মারধর করে চলে আসে। মারধরের খবর পেয়ে ছাত্রলীগের শৈলকূপা গ্রুপের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে শাহিনকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। শাহিন প্রক্টরের অফিসে আছে এমন খবর শুনে তারা প্রক্টর অফিসে গিয়ে সেখানে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় শৈলকূপা গ্রুপের কবীর, নাজমুল, নওশাদসহ ১৫-২০ ভাংচুরে অংশ নেন। এ ঘটনার জের ধরে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এদিকে, বেলা ২টার দিকে বিষয়টি মিমাংসা করতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম দুই গ্রুপের নেতা কর্মীদের নিয়ে দলীয় টেন্টে আলোচনায় বসেন। তবে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই টেন্ট থেকে দুই গ্রুপের কর্মীরা চলে যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই গ্রুপের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। দ্রুত মিমাংসা হবে বলে আশা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আমি ছুটিতে ক্যাম্পাসের বাইরে আছি, তবে বিষয়টি শুনেছি। ক্যাম্পাসে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
বিডি-প্রতিদিন/১২ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব