রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিল, সড়ক অবরোধ, সমাবেশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষক সমিতি, ছাত্রলীগ, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ হত্যাকাণ্ডের পর ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এরপর এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল ও মানববন্ধন করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দুপুর ১২টায় সিনেট ভবনের সামনে সমাবেশ করেছে রাবি শিক্ষক সমিতি। সমাবেশ থেকে আগামীকাল রবিবার ক্লাস বর্জন ও সকাল ১০টায় প্রতিবাদ র্যালির ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তী কর্মসূচি সন্ধ্যায় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভায় নির্ধারণ করা হবে বলে জানানো হয়।
রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আজম শান্তনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তরা বলেন, 'মুক্তবুদ্ধির চর্চা বাধাগ্রস্থ করতে বারবার আঘাত আসছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপরে। অসহায়ভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে শিক্ষক সমাজ। সংস্কৃতিমনা শিক্ষকদের ওপর বারবার নেমে আসছে হত্যার খড়গ। তাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের যতক্ষণ না বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে ততক্ষণ শিক্ষক সমিতির এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো শহীদুল্লাহ বলেন, ' ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্ষবরণসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতেন। তার ব্যক্তিগত কোনো শত্রু ছিলনা তবে কয়েক মাস আগে তার কাছে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।' এছাড়া দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল করে রাবি শাখা ছাত্রলীগ।
আজ শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে শহরের শালবাগানের বটতলা এলাকায় ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে নিজ বাড়ির অদূরে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ