যুদ্ধাপরাধীদের ‘বিচার বন্ধ’ এবং ‘অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের’ উদ্দেশ্য নিয়েই ধারাবাহিক গুপ্তহত্যার মাধ্যমে দেশে ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির’ চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দল সভাপূর্ব এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তখন ১৪ দল শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় সকল ষড়যন্ত্র মেকাবিলা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যখন স্থিতিশীল হচ্ছে। বাংলাদেশ যখন জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন একটি মহল চক্রান্ত শুরু করেছে। ধারাবাহিকভাবে একই ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। যার উদ্দেশ্য একটাই, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারকে বিব্রত ও বিপর্যস্ত করা। এই সরকারকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে চাপে ফেলা।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা নৈরাজ্য করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারাই গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে একাত্তরের ঘাতকদের বিচার বন্ধ করতে চায়। জাতীয়-আর্ন্তজাতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করেও এ বিচার বন্ধ করা যায়নি। এই বিচার হচ্ছে, হবে। অতীতে যেমন ১৪ দল সকল চক্রান্ত মোকাবিলা করেছে। আজকেও বিএনপি-জামায়াত জোটের যে কোনো চক্রান্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়েই মোকাবিলা করবে।’
এদিকে বৈঠকের পর ১৪ দলের দপ্তর সমন্বয়ক মৃণাল কান্তি দাস সাংবাদিকদের জানান, কলাবাগানে জোড়া খুনের ঘটনায় ৮ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জনসভা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় ১৪ মে রাজশাহী মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, জাসদ (একাংশ) সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক (একাংশ) নাজমুল হক প্রধান, জাসদ (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব