বিএনপির নতুন কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আবাসিক ব্যবহারকারীদের গ্যাসের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধির প্রস্তাব ‘গণবিরোধী’। অবিলম্বে ওই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তা হবে জনগণের জীবনযাত্রায় ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত স্পষ্ট। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার ওপর কী প্রভাব ফেলবে- সে বিষয়ে সকল স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা না করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে চরম খামখেয়ালিপনা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন জীবন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করিম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, জালাল আহমেদ মজুমদার, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, আবদুল আউয়াল খান, সাইফুল ইসলাম, শামসুজ্জামান সুরজ।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানির দ্বিতীয় দিনে আবাসিক ও শিল্প কারখানার গ্রাহকদের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। আবাসিক খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ দশমিক ৮০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এক চুলার মাসিক বিল ৬০০ টাকা থেকে ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১১০০ টাকা আর দুই চুলা ৬৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১২০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্যাপটিভ পাওয়ার (শিল্প কারখানায় স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন জেনারেটর) খাতেও ১৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮ দশমিক ৩৬ টাকা। দাম বৃদ্ধির পর তা ১৯ দশমিক ২৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতে ৬৩ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭১ শতাংশ, শিল্প কারখানায় ৬২ শতাংশ ও শিল্প কারখানার জন্য ৬২ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ