এবার কোরবানির ঈদে পশুর দাম নাগালের মধ্যেই থাকবে যে সব কারণে তা হলো, দেশে এবার গরুর মজুদ পর্যাপ্ত। ভারত, মিয়ানমার থেকেও প্রচুর গরু এসেছে। তাছাড়া এ বছর বন্যার কারণে গরু বিক্রিও বেড়ে যাবে। সার্বিকভাবে হাটগুলোতে পশুর সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি হবে বলে মনেই করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এখন হাটে বেচাকেনা পুরোদমে শুরু হলেই কোরবানিদাতাদের কাছে তা দৃশ্যমান হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকেও বারবার দাবি করা হয়েছে, কোরবানির পশু নিয়ে দেশে কোনো সংকট হবে না। দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
জানা গেছে, যে কোনো সময়ের তুলনায় এ বছর দেশে গরু, মহিষ, ছাগল, খাসি ও ভেড়ার উৎপাদন বেশি হয়েছে। ফলে কোরবানিতে এবার পশুর যে চাহিদা তৈরি হবে, অভ্যন্তরীণ উৎপাদন দিয়েই তার জোগান দেয়া সম্ভব। কেননা সারা দেশে ৪০ টিরও বেশি জেলা বন্যাকবলিত হওয়ার পাশাপাশি ভারত, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান থেকে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমাণ গবাদি পশুর আমদানি হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধের পর দেশে গরুর উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর বিক্রয়যোগ্য গরুর পরিমাণ ছিল ৯৬ লাখ ৩৫ হাজার, এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ। এসব পশুকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে কোরবানির জন্য উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত কোরবানির পশু দেশে মজুদ রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার