বরিশাল নগরীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন এবং ৯১ পিস চোরাই ভারতীয় শাড়ি ও ৩০ কেজি চন্দন কাঠসহ একজনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যায় এসআই হেলালুজ্জামানের নেতৃত্বে নগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরীর সদর রোডের মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের সামনে অভিযান চালিয়ে ৮৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ যুবদল নেতা মোমেন সিকদারের ছোট ভাই মনু সিকদার ও জাহাঙ্গীর হোসেন হেনাকে আটক করে। এ ঘটনায় এসআই হেলাল নিজে বাদী হয়ে আটককৃতদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
অপরদিকে, নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি দল রবিবার সন্ধ্যায় পলাশপুর বস্তিতে অভিযান চালিয়ে ৯১ পিস ভারতীয় চোরাই শাড়ি এবং ৩০ কেজি চোরাই চন্দনকাঠসহ মাহাবুব ওরফে চোরা মাহাবুব নামের একজনকে আটক করে। আটক মাহবুবের বাড়ি সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকায়। এ ঘটনায়ও মাহাবুবকে আসামি করে নগরীর কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন এসআই দোলোয়ার।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন সংলগ্ন নদী থেকে বিপুল পরিমান চোরাই ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, পিস কাপড় ও চন্দনকাঠ বোঝাই একটি বালুবাহী বলগেট আটক করে বরিশাল কোস্টগার্ড। ওই দিন রাতে চরকাউয়া খেয়া ঘাটের আবুল কালাম ও কোস্টগার্ডের কতিপয় অসাধু সদস্যের যোগসাজসে কিছু মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়। যার একাংশ নগর গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বরিশাল কোস্টগার্ডের কনটিনজেন্ট কমান্ডার মো. ইসমাইল।
বিডি-প্রতিদিন/০২ অক্টোবর, ২০১৬/মাহবুব