ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার জন্য ভারত হয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে হুণ্ডির মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা আসে। আর সেই টাকা উত্তোলন করেছিল পলাতক জঙ্গি বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট। দুই দফায় এই টাকা তুলে নেন জঙ্গি চকলেট। প্রথম দফায় ১১ লাখ টাকা এবং দ্বিতীয় দফায় প্রায় ৯ লাখ টাকা তোলা হয়। সে বিষয়ে ডকুমেন্টরি তথ্যও পাওয়া গেছে। অর্থদাতার নাম পাওয়া যায়নি তবে হুণ্ডি ব্যবসায়ী ও প্রাপকের নাম পাওয়া গেছে।
তিনি সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হামলা পরিচালনার অর্থের পাশাপাশি অস্ত্র ও বিস্ফোরক আসার বিষয়ে আমরা বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে এখনও পুরোপুরি তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের ব্যালাস্টিক টেস্ট করতে দেওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে বলা যাবে কোথা থেকে অস্ত্রগুলো আনা হয়েছিল।
গুলশান হামলাসহ বিভিন্ন হামলায় জড়িত গুরুত্বপূর্ণ আসামি ও মাস্টারমাইন্ডরা গ্রেফতার হয়েছে উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, অনেককেই আমরা গ্রেফতার করতে পেরেছি। গ্রেফতার অভিযানে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ আসামি মারা গেছেন। আজিমপুরের ঘটনায় আব্দুল করিম নামে একজন আত্মহত্যাও করেছেন। নারায়ণগঞ্জের অভিযানে নিহত হয় গুলশান হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরী।
মনিরুল ইসলাম বলেন, আজিমপুরে জঙ্গি অভিযানের ঘটনায় নিহত তানভীর কাদেরির সন্তান তাহরিম কাদেরি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তানভীর কাদেরি জঙ্গিদের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। তার বর্ণনায় উঠে এসেছে কে অস্ত্র গ্রহণ করেছে, কোথা থেকে অর্থ এসেছে। তাহরিম কাদেরির জবানবন্দি থেকে বেশ কিছু তথ্য ও প্রমাণ মিলেছে।
তিনি বলেন, কল্যাণপুর থেকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার জঙ্গি সদস্য রিগানের জবানবন্দিতে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের সঙ্গে তারা যোগাযোগের কথা স্বীকারও করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন