সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।
আজ বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে, সোমবার বিকাল ৫টার দিকে এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হওয়ার পর নার্গিসকে বদরুল নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এরপর নার্গিসকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে মধ্যরাতে তাকে ঢাকায় এনে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর ঘটনার পর স্থানীয়রা বদরুলকে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের কনসালট্যান্ট ও অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর ড. মির্জা নাজিম উদ্দিন জানান, ‘নার্গিসের মাথায় অসংখ্য চাপাতির কোপের চিহ্ন রয়েছে। তাকে এমনভাবে কোপানো হয়েছে যে, খুলি ভেদ করে ব্রেন ইনজুরি হয়েছে। কোপানোর সময় হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করায় তার দুই হাতের রগ কেটে গেছে।’
বিডি প্রতিদিন/ ০৫ অক্টোবর ২০১৬/ এনায়েত করিম