২০১৯ সাল থেকে দেশের সব শিক্ষাবোর্ডের অধীনের সব পাবলিক পরীক্ষা অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নেওয়ার সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন, সম্প্রতি দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের নিয়ে দুই দিনের এক কর্মশালায় এ সুপারিশ উঠে এসেছে।
সোমবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব সুপারিশের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার সময় চাপ কমাতে শিক্ষাবিদরা বিষয় কমানোর সুপারিশ করেছেন।
এসএসসি পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা, চারু ও কারুকলা, এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলোকে পাবলিক পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত না করে বিদ্যালয়ে নিচু শ্রেণিতে ধারাবাহিক সেগুলো পড়ানোর সুপারিশ এসেছে ওই কর্মশালায়।
তবে কবে থেকে এসব বিষয় এসএসসি থেকে বাদ যেতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রী। বর্তমানে এসএসসিতে মোট কতটি বিষয় ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে নেওয়ার সুযোগ আছে তাও জানাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী জানান, ২০১৯ সাল থেকে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ এসেছে কর্মশালায়।
পাশাপাশি পরীক্ষার এমসিকিউ ও সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরির জন্য ‘আইটেম ব্যাংক’ তৈরি, বইপড়া দিবস পালন, যথাসময়ে শিক্ষকদের ‘টিচার্স গাইড’ সরবারহেরও সুপারিশ করেছেন শিক্ষাবিদরা।
সংবাদ সম্মেলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন